ছেনু মিয়ার মাথা খুজে
পাওয়া যাচ্ছেনা। সারা গ্রামে তা নিয়ে হৈ চৈ পরে গেছে। পুলিশ রীতিমত এসে হাজির।
সবাই লাশের চারপাশে দাঁড়িয়ে থেকে নানা রকম মন্তব্য করছে। কিন্তু কেউ লাশের মাথা
খুঁজতে যাচ্ছেনা। সকলেই বলাবলি করছে, কার এত বড় স্পর্ধা, ছেনু
মিয়ার দোকানের নিচেই ওকে মেরে মাথা কেটে নিয়ে গেল।
এদিকে ছোট ছোট ছেলেরা ডান-গুলি খেলছিল। ছেনু মিয়ার ছেলেটা ভারি পাজি। ডাণ্ডা দিয়ে গুলিকে মেরে ইচ্ছে করে গোরস্থানের ঝোপের মধ্যে ফেলেছে। সবাই মিলে তাই ঝোপের মধ্যে খোজাখুজি করছে। একসময় একজন মানুষের কান আবিষ্কার করল। তারপর খেলা বাদ দিয়ে সবাই দিল ভোঁ দৌড়। গ্রামের লোকজনকে বলতেই তারা লাশ ফেলে দৌড়ে এল কানের কাছে। একজন ছেনু মিয়ার ছেলেকে দেখে খেকিয়ে উঠল, “দ্যাখছত নি, কত্ত বড় সাহস! বাপে মইরা গেছে আর পোলায় ডান-গুলি খেলতাছে”। ছেনু মিয়ার ছেলের সাথে সাথেই উত্তর, “এ্যাহ, কেডায় কইছে আমার বাপে মইরা গেছে! কাইল রাইতের থাইকা তো তার ডাইরেক্ট হইছে। তাই সে এখন ‘পাঁচ মিনিট ভেতর পাঁচ মিনিট বাহির’ এই কাজে ব্যস্ত”।
সকলেই থমকে দাঁড়ালো ছেনু মিয়ে মরে নাইতো কে মরেছে? কেউ কেউ নিজ বাড়ির দিকে হাটা দিল, তাদের কেউ কিনা দেখে আসতে। এদিকে পুলিশ কানের সূত্র ধরে লাশ পেল, গ্রামের লোকজন আন্দাজ করতে পারল, গতকাল কবর দেয়া শম্ভু ডাকাতের লাশ নিয়ে শেয়ালেরা টানা হেচরা করতে গিয়ে মাথা রয়ে গেছে কবরের পাশে কিন্তু লাশ টেনে নিয়ে গেছে।
পরামর্শঃ খোজ না নিয়ে খবর বলবেননা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন