This blog is about Bangle Ghost, Horror, Funny and fantasy story.

This blog is about Bangle Ghost, Horror, Funny and fantasy story.

বাচ্চা ভূত আর কচ্ছপের গল্প

বাচ্চা ভূতেরা এই ঠান্ডা বাতাসেও কাপড় গায় দিতে নারাজ। ছেনু মিয়ার উপর আছড় করার পর থেকে তাদের শরীর রাগে আরও হিট হয়েছে। শরীর কি গরম না হয়ে পারে? ছেনু মিয়ার কাজ কম্ম দেখলে সকলেরই গাঁ জ্বালা করবে, শুধু ভূত কেন! সেদিনতো বাচ্চা ভূতদের কথা শুনছিলই না, এবার একেবারেই তাদের দেখানো পথের উল্টো পথেই সে চলতে আরম্ভ করেছে। অবশ্য ছেনু মিয়া আগে থেকেই এ পথে চলত। 

ফকির আক্কেল আলীর পদধূলি নিতে ছেনু মিয়া এবার নিজে সশরীরে তার বাড়িতে উপস্থিত। সমস্যা তার রাতে ঘুম হয়না। রাত ভর বাচ্চা ভূতেরা তাকে জ্বালাতন করে। বাচ্চা ভূতেরা আবার তাকে ধরেছে একথা শুনে আক্কেল মিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। এ যে তার চরম ব্যার্থতা। সে একবার যার চিকিৎসা করেছে সে আর কখনোই ভূতের খপ্পরে পরেনি। কিন্ত এই সেদিন ছেনু মিয়ার বাড়িতে বৈঠক দেবার পরেও আবার ছেনু মিয়াকে ভূতে পেয়েছে। আক্কেল আলীর এইবার আক্কেল হল, তার কবিরাজি শেষ কথা না। সুতরাং এলাকায় ইজ্জত বাঁচাতে হলে তাকে এই বাচ্চা ভূতের গুষ্ঠি উদ্ধার করতে হবে।
 

বাচ্চা ভূতেরা এখন ছেনু মিয়ার সাথে নাই। তাহলে তাদের পাওয়া যাবে কোথায় এটাই এখন চিন্তার বিষয়। আক্কেল আলী সাথে সাথেই আয়না পরা দিল। ছেনুকে বলল, বাচ্চা ভূতেরা তাঁকে স্বপ্নে কি দেখায়। ছেনু মিয়া বলল, “শয়তান ভূত গুলান একটা কচ্ছপের উপর উইঠ্যা আমার দিকে তাইড়া আসে। এ কথা শুনে লোকেরা হেসেই খুন। আক্কেল আলী তার ধ্যন ভেঙ্গে দিয়ে বলল, “ব্যাটা গাধা, কচ্ছপ রে ডরাও, তাইলে আর কিছু দেখলে তো মইরাই যাইবা। ছেনু মিয়া ভাবল, এই ভূতেরা তার রাজনৈতিক ইমেজের বারোটা বাজালো বলে।

অনেক কষ্টের পর বাচ্চা ভূতদের সন্ধান পাওয়া গেল। আমির শেখের বাড়ির বাগানে তাদের কচ্ছপের উপরে দেখা গেল। সাথে সাথেই লোকজন নিয়ে আক্কেল আলী ছুটলেন। আমির শেখের বাগানে যেয়ে আক্কেল আলী ও অনান্যরা দেখল, একটা মস্ত বড় কচ্ছপের উপরে বসে বাচ্চা ভূতেরা নির্ভয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাচ্চা ভূতদের সাহস দেখে আক্কেল আলী নিজেই ভয় পেয়ে গেল। তাই একটু দূর থেকেই কাঁপা কাঁপা গলায় প্রশ্ন করতে লাগল।

আক্কেল আলীঃ বল, তোরা ক্যান আবার ছেনু মিয়ারে জ্বালাতন করতাছস।
বাচ্চা ভূতঃ ওরে ভালা হইতে কইছিলাম, ভালা হয় নাই, আবার গম চোর আমির শেখের লগে যোগ দিয়া মিছিল করতাছে।

ছেনু মিয়াঃ মিছিল করুম না তো খাওন তুই দিবি।

বাচ্চা ভূতঃ সেদিন চান্দির উপর কিল খাইয়া কেমন লাগছিল।

একথা শুনে ছেনু মিয়া পিছপা হল। সকলে ভয় পেয়ে চুপ মেরে গেল।

আক্কেল আলীঃ যা, আমি ছেনু মিয়ার হইয়া বলতাছি, ছেনু আর গম চোরেগো সাথে ঘুরবোনা। কিন্তু একটা কথা বইলা যা, এতো পশু পাখি বাদ দিয়া কচ্ছপের উপর উইঠা ছেনুরে ভয় দেখাইতাছস ক্যান?

বাচ্চা ভূতঃ আরে পয়সা লোভী রাজাকার কোনহানকার, ভূত খালি তাড়াইতেই পাড়, ভূতে যে ক্যান আর কি দুঃখে মাইনষ্যের ঘারে চাপে তা বোঝনা। এই মাইনষ্যের বাচ্চা ছেনু যাগো হইয়া কাজ করে তারা গ্রাম চালাইতাছে কচ্ছপের মত আস্তে আস্তে। তো আমি কচ্ছপের পিঠা না উইঠা কি চিতা বাঘের পিঠে উঠুম!
 

অতঃপর সকলেই মাথা নাড়িয়া কহিল, বাচ্চা ভূত ঠিক কথাই বলিয়াছে।


Share:

কোন মন্তব্য নেই:

পৃষ্ঠাসমূহ

Popular

Translate

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

Like Us