কিভাবে যেন দিনগুলো পার হয়ে যাচ্ছিলো। মিলাতেই পারছিলাম না জীবন থেকে এক টুকরো সময় নিয়ে পরিবারের সাথে একটা আনন্দ ভ্রমন করে আসার। আসলে এত্তগুলো মানুষ, সবার মন একরকম না। সবার সময় একই সময়ে হয়ে উঠেনা।
আসলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাবার মজা একরকম আর পরিবারের সাথে ঘুরতে যাবার মজা আলাদা। ছোট বেলা থেকেই যে মানুষ গুলকে দেখে এসেছি, আবার যাদের শিশু বয়স থেকেই আমি চিনি, এমন মানুষদের কাছে থেকে এমন একটা দির্ঘ ভ্রমণ।
দির্ঘ ভ্রমণে এত ক্লান্তির পরেও মনে হচ্ছিল তেমন কিছুই হয়নি। মনে হয়নি হিমছড়ি ছাড়িয়ে সেই খাড়া পাহাড় বেয়ে জীবনের ঝুকি নিয়েছিলাম। বিরক্তিকর মনে হয়নি দির্ঘক্ষন সাঁতরে চোখদুটো লাল করে বারবার সেখানে ঠান্ডা পানিতে অবিরাম ঝাপিয়ে পরা।
সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছিলাম আমাদের ছোট্ট রাজকুমারীর ধৈর্য্য দেখে। সমুদ্র তীরে ওকে প্রায় একা ফেলে রেখে আমরা সবাই ইচ্ছেমত ডুবিয়েছি। কেন জানি সমুদ্রের ঢেউকে সে ভয় পায়। একবারেই নামতে চায়নি। বয়স বেশ কম তাই বলেই।
কক্সবাজার বিমান বন্দরের পাশ দিয়ে আসার সময় দেখলাম শাপলা ফুটে আছে।
আমি একা নিরবে ইনানী সমুদ্র সৈকতে পড়ন্ত বিকেলে নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত দেখছি।
কক্সবাজার ইনানি বিচে মাছ ধরার দৃশ্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন